প্রাপ্তিস্থানঃ
গাজিপুর, টাঙ্গাইল, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, পাবনা, মাগুরা, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষিরা সহ দেশে যেসকল স্থানে ব্যপক পরিষরে লিচু বাগান বিদ্যমান সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৌ খামারিরা তাদের পালনকৃত মৌ বক্স নিয়ে, লিচু বাগানে স্থাপন করে। মৌমাছি ফুলে ফুলে বিচরণ করে নেক্টার বা ফুলের রস সংগ্রহ করে মৌচাকে নিয়ে আসে, নির্দিষ্ট সময় পর মধু পরিপক্ষ হলে মৌচাক গুলো থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়।
সংগ্রহ পদ্ধতিঃ
আমাদের দেশে ৩-৪ প্রজাতির মৌমাছি থেকে আমরা লিচু ফুলের মধু পেয়ে থাকি। বসন্ত কালে প্রকৃতিতে যখন লিচুর ফুল ফোঁটে বিশেষ করে মার্চ মাসে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৌ খামারিরা তাদেরপালনকৃত মৌ বক্স নিয়ে, লিচু বাগানে স্থাপন করে। মৌমাছি ফুলে ফুলে বিচরণ করে নেক্টার বা ফুলের রস সংগ্রহ করে মৌচাকে নিয়ে আসে, নির্দিষ্ট সময় পর মধু পরিপক্ষ হলে মৌচাক গুলো থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়। লিচু ফুলে প্রচুর পরিমাণে নেক্টার বিদ্যমান। এপিস মেলিফেরা প্রজাতির পাশাপাশি এপিস সেরেনা ও এপিস ডরসাটা প্রজাতির মৌমাছি থেকে লিচু ফুলের সুস্বাদু মধু সংগ্রহ করা হয়।
লিচু ফুলের মধুর উপকারিতাঃ
১। লিচু ফুলের মধু সাধারণভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শ্বাসযন্ত্রকে শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণের জন্য সুপরিচিত এবং ব্যাপকভাবে গৃহীত।
২। এটি হজমের সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক,
৩। লিচুর মধুর সাহায্যে আপনি আপনার রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করতে পারেন,
৪। এটি একটি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী,
৫। লিচুর মধু প্রাকৃতিক শক্তির উৎস,
৬। এটি ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে,
৭। লিচু ফুলের মধুতে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নিরাময় যৌগ রয়েছে যা প্রতি সপ্তাহে গ্রহণ করলে মানুষকে সুস্থ রাখে,
৮। এই মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে,
৭। লিচুর মধু স্মৃতিশক্তিও বাড়াতে পারে,
৮। এটি গলার যেকোনো সমস্যা নিরাময় করে,
৯। এই মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে,
১০। লিচু ফুলের মধু ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়া এবং বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে,
১১। লিচু ফুলের মধুতে আলসার এবং অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধি কমানোর গুনাগুন রয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.